সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সহকারী প্রধান (অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক, সুপার ও সহকারী সুপার) নিয়োগের দায়িত্ব এনটিআরসিএকে (NTRCA) দেওয়া হলেও, সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বেসরকারি মাধ্যমিক–১ শাখা থেকে নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত রাখার পরিপত্র জারি করা হয়েছে।
এই উদ্যোগকে অনেক শিক্ষক ও সচেতন মহল স্বাগত জানিয়েছেন। তাদের মতে, এটি দীর্ঘদিনের জটিলতা নিরসনের সুযোগ তৈরি করবে। তবে পরিপত্রে নিয়োগ স্থগিতের কারণ ও সময়সীমা উল্লেখ না থাকায় অনেকেই আশঙ্কা করছেন, নতুন এই সিদ্ধান্ত আবারও নিয়োগ প্রক্রিয়াকে অনিশ্চয়তায় ফেলতে পারে।

এর আগে ২০১৫ সালের ২২ অক্টোবর সরকার প্রবেশ পর্যায়ের শিক্ষক নিয়োগ বন্ধের গেজেট প্রকাশ করে। পরে ১১ নভেম্বরের পরিপত্রে জানানো হয়, ওই তারিখের পর যেসব নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে, তা অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। এরপর থেকেই এনটিআরসিএ প্রায় দেড় লাখ শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করেছে।
সম্প্রতি একাধিক প্রতিষ্ঠান যেমন রাজশাহীর পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বগুড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অধ্যক্ষ ও সহকারী প্রধান নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আবেদনও গ্রহণ করেছে। এমন অবস্থায় নিয়োগ বন্ধের নোটিশ তাদের কঠিন অবস্থায় ফেলেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রার্থী জানিয়েছেন, তারা ইতোমধ্যে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, বিষয়টি আদালতে গড়ালে প্রক্রিয়াটি আরও জটিল হয়ে পড়বে এবং নতুন জনবল কাঠামোর আলোকে প্রতিষ্ঠান প্রধান নিয়োগ কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য ঝুলে যেতে পারে।
See More: NTRCA Circular