এনটিআরসিএর (বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ) সুপারিশপ্রাপ্তদের বদলি নীতিমালা-২০২৪ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। তারা জানিয়েছেন, আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে বদলির জন্য শূন্যপদের তালিকা প্রকাশ না করা হলে ২৩ অক্টোবর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বৃহৎ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
রোববার (৫ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ‘বাংলাদেশ ইউনিটি অব টিচার্স’-এর ব্যানারে আয়োজিত এই সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা দ্রুত নীতিমালা বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।
শিক্ষক নেতাদের বক্তব্য
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, “আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরগুলোকে এনটিআরসিএ সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের জন্য প্রণীত বদলি নীতিমালা-২০২৪ দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানাচ্ছি। আশা করি, সংশ্লিষ্ট বিভাগ শিক্ষকদের এই ন্যায্য দাবির প্রতি ইতিবাচক সাড়া দেবে এবং নীতিমালাটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও কার্যকর করবে।”
তারা অভিযোগ করেন, ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বদলি কার্যক্রম চালুর কথা বলা হলেও, ১৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশের কথা থাকলেও এখনও শূন্যপদের তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। একাধিকবার অনুরোধের পরও শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর থেকে কার্যকর পদক্ষেপ না আসায় শিক্ষকরা এই আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন।
আন্দোলনের পটভূমি
বক্তারা জানান, এনটিআরসিএর মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত এমপিওভুক্ত অনেক শিক্ষক নিজ বাড়ি থেকে শত শত কিলোমিটার দূরে কর্মরত। আগে “শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা ২০১৫”-এর ৭ নম্বর ধারায় তারা পরবর্তী নিয়োগে আবেদন করে কর্মস্থল পরিবর্তনের সুযোগ পেতেন। কিন্তু ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগে সেই ধারা বাতিল করা হয়, ফলে দূরবর্তী স্থানে কর্মরত শিক্ষকরা আর বাড়ির কাছাকাছি বদলির সুযোগ পাচ্ছেন না।
এ অবস্থায় শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেও ফল না পাওয়ায় বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দাবি জানিয়ে আসছেন। অবশেষে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সাবেক শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের নির্দেশে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বদলি নীতিমালা প্রণয়ন করে, তবে তা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি।
বক্তারা আশা প্রকাশ করেন, সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে নীতিমালাটি কার্যকর করবে, যাতে শিক্ষকরা নিজেদের যোগ্যতা ও সুবিধা অনুযায়ী কর্মস্থলে বদলির সুযোগ পান।
See More: NTRCA Circular