বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া সহজীকরণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর ফলে শিক্ষক নিয়োগে দীর্ঘসূত্রিতা কমবে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়:
বুধবার (১৮ জুন) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মিজানুর রহমানের কক্ষে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন যুগ্মসচিব হেলালুজ্জামান সরকার, এনটিআরসিএর পরিচালক কাজী কামরুল আহছান, টেলিটক ও এসবির কর্মকর্তারা।
কী বললেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা:
বৈঠক শেষে যুগ্মসচিব হেলালুজ্জামান সরকার জানান,
“প্রবেশ পর্যায়ে শিক্ষক নিয়োগে পুলিশ ভেরিফিকেশন দীর্ঘ সময় নেয়। এ সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এখন থেকে ভেরিফিকেশন ফরম মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর প্রয়োজন হবে না।”
তিনি আরও বলেন,
“চূড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীরা অনলাইনে ভি-রোল ফরম পূরণ করবেন। সেটি এনটিআরসিএর মাধ্যমে সরাসরি পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি)-তে চলে যাবে। এসবি ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করে রিপোর্ট দেবে।”
ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি: গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
- আবেদন শুরু: ২২ জুন ২০২৫, দুপুর ১২টা থেকে
- আবেদন শেষ: ১০ জুলাই ২০২৫, রাত ১২টা পর্যন্ত
- ফি জমার শেষ সময়: ১৩ জুলাই ২০২৫, রাত ১২টা
মোট পদসংখ্যা:
১,০০,৮২২টি (এমপিওভুক্ত)
- স্কুল ও কলেজ: ৪৬,২১১টি
- মাদ্রাসা: ৫৩,৫০১টি
- কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা: ১,১১০টি
আবেদন প্রক্রিয়া:
- সর্বোচ্চ ৪০টি প্রতিষ্ঠানে পছন্দ দেয়া যাবে
- আবেদন ফি: ১,০০০ টাকা (টেলিটক ও এনটিআরসিএ ওয়েবসাইটে)
- ফি জমা না দিলে আবেদন বাতিল হবে
সতর্কতা ও শর্ত:
- মিথ্যা তথ্য প্রদান করলে সুপারিশ বাতিলসহ আইনানুগ ব্যবস্থা
- সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিয়োগ না দিলে প্রতিষ্ঠানপ্রধানের এমপিও স্থগিত/বাতিল হতে পারে
- ভুল চাহিদার দায়ে এনটিআরসিএ দায়ী থাকবে না
